বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বছরজুড়েই বিভিন্ন কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়ে থাকেন তিনি। বর্তমানে দেশটিতে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচনী খবরের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে নোবেল পুরস্কার।
গত বুধবার ২০২১ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেন নরওয়ের সংসদ সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-জিজেডে।
এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য দ্বিতীয় মনোনয়ন পেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কসোভো এবং সার্বিয়াকে চুক্তির আওতায় আনতে ভূমিকা রাখায় পুরস্কারটির জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছেন সুইডেনের সংসদ সদস্য ম্যাগনাস জ্যাকবসন।
যেকোনও জাতীয় সংসদ সদস্য, সাবেক নোবেলজয়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যরা যে কাউকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে পারেন।
ট্রাম্পের মনোনয়ন নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি নরওয়ের নোবেল কমিটি।
গত কয়েক দশকে এমন অনেকেই হুটহাট করে অনেক ব্যক্তিকে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কয়েক জন যেতে পারেন সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
ট্রাম্পকে দ্বিতীয় মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দিয়ে জ্যাকবসন শুক্রবার টুইটে বলেন, ‘হোয়াইট হাউজের মাধ্যমে শান্তি এবং অর্থনৈতিক উন্নতির যৌথ চুক্তির জন্য আমি মার্কিন সরকার, সার্বিয়া এবং কসোভোকে শান্তিতে নোবেলের মনোনয়ন দিয়েছি। বাণিজ্য এবং যোগাযোগ শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।‘
কসোভোর আলবেনীয় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সার্ব বাহিনীর যুদ্ধ শেষ হয় ১৯৯৮-৯৯ সালে। ওই যুদ্ধে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সমরাভিযান চালায় ন্যাটো। এতে কসোভো থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় দেশটি। এর এক দশক পর ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বিয়া থেকে পৃথক হয় কসোভো। পরে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় স্বাধীনতা ঘোষণা করে তারা।