পটুয়াখালীর বাউফলে পূর্ব বিরোধের জেরে মিন্টু মৃধা (৪০) নামের এক ব্যক্তির একটি চোখ তুলে নিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ছাড়াও তার ডান চোয়াল, ডান হাত ও ডান পা কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। মিন্টুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মদনপুর ইউনিয়েন দ্বিপাশা গ্রামের উচা পুলের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার জানিয়েছে, বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামের মিন্টু মৃধার সঙ্গে দ্বিপাশা গ্রামের ফজলে করিম মাতুব্বরের ছেলে প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান মাতুব্বর সঙ্গে মিন্টুর ঘেরের মাছ লুট করে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে মামলা পাল্টা মামলা চলে আসছিল। মিজানুরের দেওয়া একটি মামলায় সম্প্রতি মিন্টু মৃধা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি আসেন। ঘটনার দিন দুপুর ১২টার দিকে মিন্টু মৃধা দ্বিপাশা উচা পুলের কাছে একটি দোকানে চা পান করছিল। এসময় মিজানুর মাতুব্বর (৪০) তার ভাই সোহেল মাতুব্বর (৩৭) ও একই গ্রামের মৃত সুলতান মৃধার ছেলে (মিজানুরের শালা) শাহিন মৃধা (২৮) নেতৃত্বে ৫-৭ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায় দুর্বৃত্তরা মিন্টু মৃধার বাম চোখ খুঁচিয়ে তুলে ফেলে। ডান চোখটিও নষ্ট করার চেষ্টা করে। দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিন্টু মৃধার ডান চোয়াল মারাক্তক জখম হয়। এ ছাড়াও তার ডান পা ও ডান হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ বলেন, মিন্টু মৃধার বাম চোখটি খুঁচিয়ে তুলে ফেলা হয়েছে। এছাড়া তার অন্য জখমও গুরুতর। শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।