ঢাকা: দেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে দায়িত্ব পালনে ব্যতিক্রম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দেশে চলমান প্রকল্পসমূহে দায়িত্বপ্রাপ্তদের যার যার অবস্থানে থেকে কাজ করতে হবে, এর কোনো ব্যতিক্রম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশনের (সাসেক) আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ আহবান জানান। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের ২১টি উপ-আঞ্চলিক সড়ক করিডোর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি রাজনৈতিক প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এ দেশের রাজনীতিতে আন্দোলনে ব্যর্থ হলে পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হবার কোন রেকর্ড নেই।
বিএনপিতে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের নেতিবাচক রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে অতি সখ্যতার জন্য।
বিএনপি মহাসচিবের পার্লামেন্টের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদীয় রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের বিকাশে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার, নির্বাচন ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন এবং পার্লামেন্টের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির যেই কয়জন সংসদ সদস্য আছেন তারাই বেশি মিডিয়ায় ফোকাস হচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে স্পিকার সবাইকেই সমান সুযোগ দিচ্ছেন, কেউ কোন বৈষম্যের অভিযোগ দিতে পারবেন না।
বিএনপির সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টে নিয়মিত কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন, সে হিসেবে সরকার দলের সদস্যরা প্রতিদিন তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদে বিএনপির সদস্য সংখ্যা কম, জনগণ তাদের ভোট দেয়নি, সে দোষ কি সরকারের নাকি পার্লামেন্টের? তাদের শক্তি সংকুচিত হয়েছে, সেটাও কি সরকারের দায়?