ঢাকা: রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে (পুরাতন রেলওয়ে হাসপাতাল) বাদ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আগে এই তালিকায় ৭৫টি স্থাপনা থাকলেও নতুন তালিকায় সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে বাদ দেওয়ায় সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪টি।
সম্প্রতি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে এই তালিকা তৈরির পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮’ অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকার ঐতিহাসিক, নান্দনিক, বৈজ্ঞানিক, সামাজিক এবং/অথবা ধর্মীয় গুরুত্ব বিবেচনায় এসব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হলো।
ইতোপূর্বে জারি করা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার তালিকা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর ও ১১ ডিসেম্বরের তালিকা বাতিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘তালিকাভুক্ত ইমারত’ বলতে ইমারত ও ইমারত সংলগ্ন যে কোনো অবকাঠামো এবং ইমারতের সীমানার ভেতরে অবস্থিত সব অংশকে বুঝাবে।
নগর উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন ছাড়া এ তালিকাভুক্ত ভবন ও স্থাপনার কাঠামো আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ, পুনর্নির্মাণ, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন সংযোজনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের বহুতল একটি ভবন নির্মাণের জন্য সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
গত ১ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে সুরক্ষাসামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫শ বেডের ১৬তলা হাসপাতালে পরিণত করার জন্য ব্যয় হবে ৩৮০ কোটি টাকা। সেই কাজ শুরু হয়েছে।
সরকারি কর্মচারী ছাড়াও সাধারণ মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেন বলেও জানান জনপ্রশাসন সচিব।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এই হাসপাতালে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে।