রংপুর: রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রনির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলার দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক স্কুল শিক্ষিকা।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মামলা সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রনির সঙ্গে ওই নারী শিক্ষিকার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে ভুক্তভোগী ওই নারী বিয়ের প্রস্তাব দেন। গত বছরের ১৮ এপ্রিল নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজল কুমারের বাড়িতে গোপনে ভুয়া কাজি দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় ঘোরাঘুরির নামে ভারতের মেঘালয়, শিলিগুড়ির, মুম্বাইসহ বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে গিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করেন। এছাড়াও গত ৫ জুন রংপুর কেরানীপাড়ার ভাড়া বাসায় এসে রাত্রিযাপন ও একাধীকবার ধর্ষণ করেন।
এভাবে চলতে থাকলে ভুক্তভোগী তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে বললে ছাত্র রাজনীতির পদের কথা উল্লেখ করে অপেক্ষা করতে বলেন। এছাড়াও গত চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে তার কাছ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেন ওই নারী।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী নারী বলেন, দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্ক আমার। মিথ্যা বিয়ের কথা বলে আমার সব শেষ করে দিয়েছে। এখন বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমাকে চাকরীচ্যুত করারও পায়তারা করছে। এছাড়াও আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তিনি ও তার লোকজন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান রনি বলেন, ওই নারীর সঙ্গে আমার পরিচয়ের সুসম্পর্ক ছিল। একটি চক্র রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেনস্থা করার জন্য তাদে প্রলুব্ধ করে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়েছে।
এদিকে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা রনির অনুসারীরা ‘মিথ্যা’ মামলা দায়েরের অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাহারের দাবীতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ বলেন, মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।