সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলেছেন, দেশটি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধান দেখতে চায়, যা ছিল ২০০২ সালে আরব পিস ইনিশিয়েটিভ শুরুর মূল কারণ।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। মিশর এবং জর্দানের পর তৃতীয় আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে আগালো আমিরাত। এরপর ফোনে সৌদি বাদশাহ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
বাদশাহ সালমান ট্রাম্পকে বলেন, শান্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তিনি। তবে আরব পিস ইনিশিয়েটিভের ওপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিনি ইস্যুর একটি ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধান দেখতে চায় সৌদি আরব।
ওই প্রস্তাবের আওতায়, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তি এবং ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর দখল করা অঞ্চল থেকে ইসরায়েল নিজেদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করলে, বিনিময়ে আরব দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।
সৌদি আরব ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তবে চলতি মাসে সৌদি জানায়, আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে ফ্লাইট চালু এবং এক্ষেত্রে ইসরায়েলি প্লেনকেও আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে দেশটি।
অপরদিকে, হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানান, ওই ফোনালাপে ট্রাম্প বাদশাহ সালমানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং পরে তারা আঞ্চলিক সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা করেন।