প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে জাতীয় পার্টিতে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা।
সোমবার দুপুরে রংপুরের পল্লী নিবাস বাসভবনে এরশাদের কবর জিয়ারতের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় তার সাথে পুত্র এরিক ছিল।
এসময় বিদিশা বলেন, আমি আমার মরহুম স্বামীর কবর জিয়ারতের মধ্যদিয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হলাম। জানি এজন্য আমাকে অনেক বাধা বিপত্তি পার হতে হবে। যত বাধাই আসুক না কেন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আমি আমার স্বামীর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, এরিক একমাত্র এরশাদের উত্তরাধীকারি। এরশাদের সম্পত্তি গ্রাসের জন্য একটি গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, আমার স্বামী এরশাদকে দিয়ে অনেকেই মন্ত্রী এমপি হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা কেউই খোঁজ রাখেননি। যারা খোঁজ রেখেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরশাদের মৃত্যুর পর মাটি দিতে আসতে আমাকে এবং পুত্র এরিককে বাধা দেয়া হয়েছে। এমনকি কবর জিয়ারত করতেও আসতে দেয়া হয়নি। আমি সকলের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিতে চাই।
এসময় এরিক বলেন, আমার মা রাজনীতি করুক এটা আমি চাই। আমার বাবা রংপুরের মাটিতে শুয়ে আছে তার জন্য এবং আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। এরিক আরও বলেন, প্রতিনিয়ত আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। হুমকির কারণে আমি ও আমার মা সব সময় আতঙ্কে থাকি।
এদিকে হঠাৎ করে রংপুরে এরিক এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে বিদিশার আগমনে জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মাঝে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছে জাপার মূল দলে ঠাঁই পেতে বিদিশাকে বেগ পেতে হবে।
কবর জিয়ারতের পরে ছেলে এরিককে সাথে নিয়ে এরশাদের নবনির্মিত পল্লী নিবাস ভবনের উপরে যান। এসময় তাদের সাথে ছিলেন এরশাদ কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালনা মণ্ডলীর সদস্য এরিক এরশাদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার এডভোকেট কাজি রুবায়েত হাসান, বিএনএ-এর চেয়াারম্যান সেকেন্দার আলী মনি, ট্রাস্টের প্রেস সচিব ও বিদিশা এরশাদ এর একান্ত সহকারী সচিব সায়েম সাকলায়েন রাজিব প্রমুখ।
এদিকে রংপুরে বিদিশার হঠাৎ আগমন প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির কোন নেতাই মন্তব্য করতে রাজী হননি। সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন কেন্দ্র থেকে নির্দেশের অপেক্ষায়।