ঢাকা: কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তার অংশ হিসেবে ইউনিসেফ গত ৬ মাসে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ১ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ডলার মূল্যের জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী দিয়েছে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোজুমি বলেন, মহামারি মোকাবিলার অগ্রভাগে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য উচ্চ মানসম্পন্ন পিপিই গুরুত্বপূর্ণ এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম অপরিহার্য।
বৈশ্বিক সঙ্কট হিসেবে কোভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও সরঞ্জাম ক্রয় ও সরবরাহের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট সামগ্রী ও সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতি, উল্লেখযোগ্যমাত্রায় মূল্যবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার-ইউনিসেফের সহযোগিতামূলক প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক এবং কভারঅলসসহ ৭২ লাখ ৮০ হাজার ডলার মূল্যের পিপিই সামগ্রীর ক্রয় আদেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রয় আদেশ দেওয়া চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর মূল্য ৫০ লাখ ডলার, যার মধ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের জীবন রক্ষায় চিকিৎসা দিতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ভেন্টিলেটর এবং পালস-অক্সিমিটার রয়েছে। এ পর্যন্ত যেসব সামগ্রী ক্রয়ের আদেশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬৮ লাখ মূল্যের পিপিই সামগ্রী এবং ২১ লাখ ডলার মূল্যের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
ইউনিসেফের কেনা কোভিড-১৯ সামগ্রীগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) অনুরোধের ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে এবং বিদেশ— উভয় উৎস থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো সারাদেশে বিতরণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, উচ্চ মানসম্পন্ন চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনন্য দক্ষতা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে ইউনিসেফের সরবরাহ করা পিপিই ও চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো দেশের মহামারি মোকাবিলা প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।