নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। আজ শনিবার সকালে মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল।
ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, এ পর্যন্ত এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০) ও জুবায়ের (৭)।
ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে একাধিক এসির। মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে মসজিদে থাকা মুসল্লীদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকে মুসল্লীরা। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লীদের আত্মচিৎকার।
পরে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের অনেকের শরীরের কাপড় ছিল না। আগুনে পুড়ে যায় শরীরের কাপড়গুলো। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ জানান, অগ্নিদগ্ধের মধ্যে ২০জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে।পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ ৩৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।