নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছেন মোস্তফার। টেলিভিশনের সংবাদ দেখে বৃদ্ধ বাবা সকালে হাসপাতালে আসেন। বারবার বলতে থাকেন, ‘আমার ছেলের লাশটা একটু দেখাও, নিহতদের লিস্টে আমার ছেলের নাম আছে। ডাক্তার বলছে আমার ছেলে মারা গেছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমার তিন ছেলে। মোস্তফা সবার বড়। লকডাউনের কারণে সে দেশে ছিল। এক মাস হয়েছে সে নারায়ণগঞ্জে এসেছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো মোস্তফা। সে বিবাহিত। কোনো সন্তান নেই। ’ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের সময় মোস্তফা নামাজে ছিলেন। সেখানে দগ্ধ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্বজনরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ছুটে আসেন। কারো বাবা, কারো ভাই, কারো সন্তান— একে একে সবাই ছুটে আসছেন হাসপাতালে। একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন।
হাসপাতালে সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, নারায়ণগঞ্জ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।