ঢাকা: সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদি কী প্রভাব পড়বে তা বলা মুশকিল।
তবে আশা করা যায়, করোনার প্রভাবে দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো সংকট হবে না।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক কনফারেন্সে ভাষণে অনলাইনে তিনি একথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান, খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুর রৌফ, এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দ্রুততার সঙ্গে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে। ফলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও খাদ্য উৎপাদনের ধারা বজায় আছে।
‘কোভিড-১৯ ও প্রাণিবাহিত রোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘এক স্বাস্থ্য অ্যাপ্রোচ’ নিতে হবে যেখানে মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ ও পরিবেশের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ককে বিবোচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। ’
এবারের ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক কনফারেন্সের আয়োজক ভুটান। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ভিভিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ কনফারেন্স। কনফারেন্সের চেয়ারপারসন ভুটানের কৃষি ও বনমন্ত্রী লিওনপো ইয়েশি পেনজর, এফএও’র মহাসচিব ডংইয়ু কিউ, সদস্য দেশগুলোর কৃষিমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৬টি দেশ এ কনফারেন্সে অংশ নিচ্ছে।