বন বিভাগ তথ্য দিতে পারে না, বন কত শতাংশ: সচিব

বন বিভাগ তথ্য দিতে পারে না, বন কত শতাংশ: সচিব

ঢাকা: পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, আমি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে, আমাদের বন কত শতাংশ আছে সেই তথ্য আমাদের বন বিভাগও সঠিকভাবে দিতে পারে না। একেকবার একেক তথ্য দেয়া হয়, একেক তথ্যে একেকবার একেকটা আসে।

তিনি বলেন, বন কিন্তু বাড়ানোর সুযোগ নেই। আমরা সেই তথ্য নিয়েও অনেকবার তাদের সাথে সভা করেছি। তারা কিন্তু সঠিক তথ্য দিতে পারে না।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভবনে দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব।

মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, জলবায়ুর প্রভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো লক্ষ্য করলে দেখি যে, সেগুলোর ইনটেনসিটি কিন্তু দিনদিন বাড়ছে। একই প্রকারে সেগুলোর ফ্রিকোয়েন্সিও অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি, সেটা নিরূপণও আমাদের সঠিক পদ্ধতিতে হয় না। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি বুলবুলের সময় ফসলের যে ক্ষতি হলো, কৃষি বিভাগ তথ্য দিলো— বরিশাল বিভাগের ৫০ শতাংশ ড্যামেজ হয়ে গেছে। সেটা আমার কাছে মনে হলো না। আমি নিজে প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরেছি। আমি বলেছি ১০ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। পরবর্তীতে ফসল যখন ঘরে উঠলো, কৃষি বিভাগের তথ্য হলো, যে ফসল হারভেস্ট করেছে, তা তাদের টার্গেট অতিক্রম করে গেছে! যদি টার্গেটই অতিক্রম করে গিয়ে থাকে, তাহলে ড্যামেজটা কী হলো?

তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো ছোট ছোট বিষয় চিন্তার একটি অংশ থেকে যাচ্ছে যে, আমরা তথ্যগুলো কীভাবে সংগ্রহ করি, কীভাবে ব্যবহার করি। এ জন্য আমাদের প্রধান অতিথি (পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান) মহোদয় বলে গেলেন, বিবিএসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি পরিসংখ্যান তারা সংগ্রহ করবে এবং সেগুলো সরকারি যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে হবে।

‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর জেনারেটিং এসডিজিস ডাটা উইথ ফোকাস টু এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করেছে বিবিএস।

প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিঘাত প্রভৃতির অ্যাসেসমেন্ট পরিমাপের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের পরিসংখ্যান প্রস্তুত ও প্রকাশ করা। এই কাজে মোট খরচ করা হবে ৩৬ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

বাস চাপায় প্রাণ গেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর

ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে চাঁদপুর জেলা