চকরিয়ায় আলোচিত মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় তিন নেতাকে শোকজ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। শনিবার (২৯ আগস্ট) রাতে সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যাদের শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবছার উদ্দিন মাহমুদ ও হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ।
শোকজ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক মিজবাউল হক বলেন, মা-মেয়েকে নির্যাতনকারী ইউপি চেয়ারম্যান মিরানের পক্ষে কথা না বলা ও সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে শোকজ করা হয়েছে। এ শোকজের মাধ্যমে একজন নারী নিযার্তনকারী ও বহু অপকর্মের হোতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার ছৈয়দ আলম বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক মিজবাউল হক সংবাদপত্রে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবছার উদ্দিন মাহমুদ ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যটাস দিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অপরাধে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগ শোকজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট শুক্রবার বিকালে হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা গ্রামে গরু চোর অপবাদ দিয়ে মা-মেয়েকে বেঁধে নির্যাতনের পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম। ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পারভীন বেগম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।