খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বেআইনীভাবে টোলকেন্দ্র স্থাপন,ময়লা-আবর্জনা ফেলা এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে কর আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ১ থেকে ৬ নম্বর ওর্য়াড সম্পূর্ণ এবং ৭ও ৮ নম্বর ওর্য়াডের আংশিক অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
এতে বিধি মোতাবেক গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সস্পূর্ণ বিলুপ্ত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন গোলাবাড়ি ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম দীর্ঘ একদশকের বেশি সময় ধরে ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল করে পৌরকর আদায় করে আসছেন। এ কর থেকে ইউনিয়ন পরিষদে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যও বাদ যায়নি। এছাড়া গোলাবাড়ী ইউনিয়নের অভ্যন্তরে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা) থেকে পৌর মেয়র কর নিয়েছেন যা পাওয়ার কথা পরিষদের।
এছাড়া খাগড়াছড়ি পৌরসভা সম্প্রসারণ বিষয়ে সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ১ থেকে ৬ নম্বর এবং ৭ ও ৮ ওয়ার্ডের আংশিক অংশ পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফলে ৩ নম্বর গোলাবাড়ী ইউনিয়ন বিলুপ্তি পথে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কংচাই মারমা, পহেলী চাকমা, ক্রাইউ মগিনী, রেম্রাচাই মারমা, সৈয়দ আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।