ঢাকা: দেশের ব্র্যান্ড ওয়ালটনের সহযোগিতায় তাইওয়ান এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার থেকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মেডিক্যাল সামগ্রী পেয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এসব সুরক্ষাসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন।
তাইওয়ান এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ১ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৬০০ এন৯৫ মাস্ক, ২০ হাজার কাপড়ের মাস্ক, ১০ হাজার ফেস ফিল্ড, ৫০০ পিপিই, ২০০ গ্লভস এবং ২ সেট ভেন্টিলেটর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ দিয়ে সঠিকভাবেই কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছে। এখন প্রয়োজন মানুষের সচেতনতা। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় আমরা সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন স্বাস্থ্য সেবায় সরকারকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তাইওয়ানের এ সহযোগিতা আমাদের কাজে লাগবে। বাংলাদেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আরও উন্নত হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আমাদের পর্যাপ্ত মেডিক্যার সামগ্রী ছিল না, যা ছিল তাই দিয়ে আমরা পরিকল্পিতভাবে এ মাহামারি মোকাবিলা শুরু করি। দেশের স্পেশালিস্ট হাসপাতাল ঘোষণা করে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সাধ্যের সবটুকু দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এসময় বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ঢাকাস্থ তাইওয়ান এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক তিথমি ডব্লিউ ডি সো এবং ম্যানেজর রঞ্জন চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।