সংবাদপত্রশিল্প অস্তিত্ব সংকটে। তাই এ শিল্পকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
শনিবার এক বিবৃতিতে এ আহবান জানান দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন তালুকদার।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আধুনিক রাষ্ট্র, সমাজ, সংস্কৃতি ও গণতন্ত্র বিকাশে সংবাদপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ভবিষ্যতে সংবাদপত্র শিল্পকে গণমানুষের স্বার্থ রক্ষায় আরও দক্ষ ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কোভিড ১৯ মহামারীর কারণে সাংবাদিকতার ইতিহাসে বৃহত্তম অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সংবাদপত্রশিল্প দারুণ সঙ্কটে নিপতিত। ইতিমধ্যেই সারাদেশে ২৫৪টি সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেছে। পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন শূন্যের কোঠায় নেমেছে ফলে প্রচুর আর্থিক লোকসানে গুণতে হচ্ছে, ইতিমধ্যে কয়েকটা পত্রিকা মুদ্রণ সংস্করণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে করোনাকালে সংবাদ এর চাহিদা কমেনি বরং বেড়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শ্রম আইন অনুসারে সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদপত্র শিল্প যেহেতু রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে সেহেতু সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া এই শিল্পের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। করোনা সঙ্কটে অন্যান্য খাত সরকারের প্রণোদনা ও বড় রকমের সহায়তা পাচ্ছে কিন্তু সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম সরকারের সকল ধরনের প্রণোদনার বাইরে রয়ে গেছে।
সংবাদপত্রের এই সংকটে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (নোয়াব) সরকারের কাছে সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা, এই শিল্পের ব্যয়ভার তথা সামগ্রিকভাবে সংবাদপত্রশিল্প রক্ষার জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও প্রণোদনা প্রদান জরুরি প্রয়োজন বলে আবেদন করেছে।
আমরা মনে করছি সরকার তাদের ন্যায় সঙ্গত দাবি মেনে নিয়ে সংবাদপত্রশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বাঙালির স্বাধীকার, স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাঙালির মনন গঠনে সংবাদপত্র শিল্পের বিরাট অবদান রয়েছে। বর্তমানে অদৃশ্য চাপের কারণে সংবাদপত্র যথাযথ ভূমিকা রাখতে না পারলেও সংবাদপত্রের অপরিহার্যতা আরও তীব্রতর হয়েছে। আইনের শাসন গণতন্ত্র ও নৈতিক মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনিবার্য।
এ লক্ষ্যে সরকার এবং সকলকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্রশিল্প রক্ষায় এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।