ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল আমিন তার মা-বাবা, স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে মা ছালেহা বেগমকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে টাঙ্গাইল যাচ্ছিল। অটোরিকশাটি ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের টাঙ্গাইল রাবনাবাইপাস পাড় হওয়ার সময় ঘাতক বাসের সংঘর্ষে আলআমিন, তার বাবা, মা ও স্ত্রী নিহত হয়। এতে গুরুতর আহত সিএনজি চালক ফেরদৌস ও আল আমিনের বোন হাজেরা খাতুন ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ ভূঞাপুরে গ্রামের বাড়িতে আসলে আত্মীয়স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠে। পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতরা হলেন, ভূঞাপুরের ভদ্রশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পৌরসভার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের আল আমিন (৫০), তার স্ত্রী ও কুকাদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিউলী বেগম (৪০), আল আমিনের বাবা সোহরাব হোসেন (৭০) মাতা ছালেহা বেগম (৬৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাম্বুলেন্স চালক ফাহিম ইসলাম বেলাল বলেন, অটোরিকশাটি টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাসে মহাসড়ক পাড় হতে যাচ্ছিল। এদিকে উত্তরবঙ্গগামী একটি দ্রুতগতির বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচরে যায়। এরআগে একই সাথে মহাসড়ক পাড় হওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাইপাসে দাড়িয়েছিলাম। কিন্তু সিএনজি চালক বিপরীত দিক না তাকিয়ে সোজা পাড় হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আলআমিন ও তার স্ত্রী পৃথক দুইটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। পরিবারের আর কেউ রইলো না।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই নবীন জানান, মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি মহাসড়ক পার হওয়ার সময় বাসের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহতবস্থায় পাঁচজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩জনের মৃত্যু হয়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, সৈকত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস নারায়ণগঞ্জ থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায় সিএনজির সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।