ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২১ আগস্ট মিটিং হওয়ার কথা ছিল মুক্তাঙ্গনে কিন্তু সেই মিটিং জোর করে আওয়ামী লীগ নিয়ে গেছে তাদের পার্টি অফিসের সামনে। বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নেওয়া যাবে, সেজন্য এ হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এই ঘটনাকে অবশ্যই একটি মর্মান্তিক ঘটনা মনে করি, যারাই করুক তারা দুরাচার। কিন্তু এখানে বিএনপি ও তারেক রহমানকে জড়ানোর একটি মাস্টার প্ল্যান ছিল। আমেরিকায় নাইন ইলেভেন হয়েছে, তখন বুশ ক্ষমতায় ছিল। তারা কি বলে যে, বুশ এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিল? বিডিআর হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগ আসার পরে হয়েছে। এখন আমরা যদি বলি এটার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। নারায়ণগঞ্জে সাত খুন হয়েছে আমরা কি বলবো— এটার জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী?
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নানের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমার কাছে একটা জিনিস খুব খটকা লাগল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান জড়িত। গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান জড়িত হলে আপনাদের আন্দোলনের ফসল মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম কেন দেয়নি? আপনারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আইন-আদালত কব্জা করে তারপর তার নাম দিতে হলো। তাতে কি প্রমাণিত হয় না এই মামলায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর নাম প্রতিহিংসামূলকভাবে দেওয়া হয়েছে। আপনার লোকরাও দিতে পারেনি, আপনি এসে দিলেন। আপনার মনের মধ্যে ছটফট করছিল কখন ক্ষমতায় আসবো আর তারেক রহমানকে ধরব।
তিনি বলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে যতটুকু দেখেছি কোথাও কোনভাবে ন্যূনতম কারণে সেখানে তারেক রহমানকে জড়ানোর কোন স্কোপ নেই। জোর করে তার নাম বলানো হয়েছে মুফতি হান্নানকে দিয়ে। সেই মুফতি হান্নান বলেছে, কীভাবে টর্চার করা হয়েছে তার ওপর। হাত-পায়ের আঙুলের নখ তোলা হয়েছে।