ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের রিমান্ড শেষ করে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে। সাতদিনের রিমান্ডের চারদিন শেষে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ সাতদিনের রিমান্ড শেষ করে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রিমান্ড শেষ না করেই আসামিকে হাজির করায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তিরষ্কার করেন আদালত৷
গত ১০ আগস্ট সাহেদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে চতুর্থ দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ায় রিমান্ড শেষের আগেই বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তবে বিচারক রিমান্ডের সাতদিন মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
তাই আদালতের নির্দেশে তাকে ফের দুদকের কার্যালয়ে নেওয়া হয় বলে জানান সংস্থাটির পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
গত ২৭ জুলাই দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল, পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ও তার ছেলে বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক চিশতী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান করপোরেট শাখার এক কোটি টাকা (যা সুদা-আসলসহ ১৫/৭/২০২০ তারিখের স্থিতি ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।