এ বছর পদ্মার ভাঙনে একই ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি নদীতে বিলীন হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি বছরের বন্যায় চরজানাজাত ইউনিয়নের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের একাধিক স্থাপনা ও ইউনিয়ন পরিষদ, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৭৭ নম্বর কাঁঠালবাড়ি সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারের তিনতলা ভবনটিও বিলীন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা এলাকাটি পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রাতে বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীগর্ভে চলে গেলে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে। নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়টির পাশেই রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও কাজীরসূরা বাজারের দোকানপাট।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, তিন থেকে চার দিন ধরে আবারও পানি বাড়ছে পদ্মায়। ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে পদ্মার চরাঞ্চলে। গত রাতে ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়টিতে চরের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করত।
ভাঙনে বিলীন হওয়া ২৬ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, ‘গতকাল গভীর রাতে স্কুলভবনটি নদীতে বিলীন হয়েছে। বিকেলেও ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান স্কুল পরিদর্শন করেছিলেন। তখনো স্কুলটি ছিল। বিদ্যালয়টি ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হবে।’
এ সম্পর্কে শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাতে পদ্মায়
বিলীন হয়ে যাওয়া স্কুলভবনটি আগে থেকেই ভাঙনের ঝুঁকিতে ছিল। আমরা ওই এলাকার ঝুঁকিতে থাকা সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছি। ভাঙন রোধে ওই এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করা হচ্ছে।’