জন্মসূত্রে তিনি পাকিস্তানি। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে রেস্তোরাঁ চালান। আর তার হৃদকম্পনে উচ্চারিত হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সদ্য সাবেক হওয়া রাঁচির ক্রিকেটারকে ভালোবেসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে ছুটে যেতেন এদেশ থেকে ওদেশ।
গত শনিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ধোনি। ধোনির অন্ধ ভক্ত সেই বশির চাচা জানেন সে কথা। তাইতো বশির চাচার কাছে দেশ-বিদেশ ঘুরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার আর কোনও অর্থই রইল না।
‘চাচা শিকাগো’ ওরফে বশির চাচা বলছেন, ধোনি অবসর নিয়েছেন সঙ্গে আমিও নিলাম। তবে রাঁচিতে ধোনির বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ধোনি অবসরে গেছে তাই আমিও ম্যাচ দেখা থেকে অবসর ঘোষণা করলাম। আমি ধোনিকে ভীষণ ভালোবাসি আর সেও আমায় ভালোবাসে। তাই ও যখন আর নেই আমার ঘুরে-ঘুরে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার কোনও মানে হয় না।
তিনি আরও বলেছেন, প্রত্যেক মহান ক্রিকেটারেরই অবসরের মুহূর্ত আসে। কিন্তু ধোনির অবসর ঘোষণা আমায় ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে একইসঙ্গে পুরনো অনেক কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওর একটা জমকালো বিদায়ী সংবর্ধনা পাওয়া উচিৎ ছিল। যদিও ও এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে।
উল্লেখ্য, জন্মসূত্রে পাকিস্তানি বশির চাচার সঙ্গে ধোনির বন্ধুত্বের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১১ বিশ্বকাপের সময়। পাকিস্তান গ্যালারি থেকে ধোনির নামে জয়ধ্বনি করার জন্য কতবার যে বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ২০১১ মোহালিতে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজক সেমিফাইনালের টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন চাচা। পরে ধোনির কানে খবর পৌঁছাতে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক চাচাকে সেমিফাইনালের টিকিট জোগাড় করে দিয়েছিলেন তিনি।
হার্টের অসুখে কিছুটা দুর্বল বশির চাচা তাই বলেন, ধোনিকে ছাড়া ক্রিকেট আগের মতো থাকবে না। তাই ক্রিকেট দেখা ছেড়ে দেবেন তিনি। তবে তিনি বলেছেন, সব স্বাভাবিক হলে আমি রাঁচিতে ধোনির বাড়ি যাব। আগামীর জন্য ওকে শুভেচ্ছা জানতে এটুকু আমি করতেই পারি। আমি রাম বাবুকে (মোহালির আরও এক ক্রিকেট ফ্যান) আমার সঙ্গে নেব।