আগস্টের শুরুতে খুলেছিল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। এক সপ্তাহেই করোনা সংক্রমণ ব্যপক হারে বাড়ল যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্ত হাজার হাজার। তাদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য হলেন আরও কয়েক হাজার। তারপরই ফের অনলাইনে ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিল দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলাইনা জানাল, আন্ডার গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ফের অনলাইনে ক্লাসের পথেই হাঁটছে তারা। আজ বুধবার থেকে শুরু হবে অনলাইন ক্লাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন ৩০ হাজার পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করার কারণে সংক্রমণ দারুণ বেড়েছে। তবে অনলাইনে ক্লাস হলে সমস্যায় পড়ছেন স্নাতকোত্তর বা গবেষণারত পড়ুয়ারা।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোনও উপায়ও নেই। কয়েকশো জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭৭ জন আক্রান্ত। আরও ৩৪৯ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। চ্যাপেল হিলের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কেভিন গুস্কিউইকস জানালেন, সংক্রমণ ঠেকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা হয়েছে। তাও করোনা সংক্রমণ রোখা যায়নি। সৌভাগ্যবশত আক্রান্তদের তেমন উপসর্গ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৩টি অনলাইন এবং ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করা- দু’ধরনের পাঠদান চালু রেখেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ওকলাহোমা, কেন্টাকি, আলাবামা, আইওয়া। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিপদ ডেকে আনছে। পরিসংখ্যান সেই প্রমাণই দেয়। বেশিরভাগ পড়ুয়া মাস্ক পরতে চাইছেন না। তাতে সংক্রমণ বাড়ছে।
ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর মধ্যে ২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ইউনিভার্সিটি অফ নটরডামে ১২ হাজার পড়ুয়ার মধ্যে ৫৮ জন করোনা আক্রান্ত। বিশেষত যারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন, তাদের ঝুঁকি বেশি। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এখনও শুধু অনলাইন ক্লাসের পথে না হাঁটলে বিপদ বাড়বে, দাবি বিশেষজ্ঞদের।