পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মিয়ানমারে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ব্যবহার করে ওই অঞ্চলের কয়েকটি দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা।
জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ব্রাসেলস ভিত্তিক সংগঠন দক্ষিণ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের গবেষণা পরিচালক ড. সিগফ্রিড ও ওল্ফ বলছেন, বাংলাদেশের জামাত উল মুজাহিদিনের (জেএমবি) আওতায় ৪০ জন রোহিঙ্গাকে প্রশিক্ষণ দিতে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) জড়িত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ প্রচার ও আফগানিস্তান এবং ভারতের মতো দেশ আক্রমণ করে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায় পাকিস্তান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান তৃতীয় একটি দেশের মধ্যে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ প্রচার করতে পছন্দ করে। এটি আরও নিশ্চিত করে যে, পাকিস্তান আফগানিস্তান ও ভারতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে ইয়াহু নিউজ বলছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আব্দুল রশিদ ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, অতীতে চরমপন্থি রোহিঙ্গারা কিছু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশ।
অবশ্য তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে।
মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সক্রিয় রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) তাদের কার্যক্রম তরান্বিত করেছে। এর সদস্যরা শরণার্থী শিবিরে সক্রিয় রয়েছে। পাকিস্তান প্রতিনিয়ত তাদের সহায়তা করছে।