সরকারি চাকরিতে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রস্তাব যাচাই করে কমিটিকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ওই সব পদে নতুন কোনো কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এরআগে প্রস্তাব দিয়েছিল পিএসসি।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের জন্য একটি কমিশন গঠন অথবা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মতো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ নিয়ে জনপ্রশাসনের চাহিদা মাফিক একটি প্রস্তাব দেয় পিএসসি।
সেই প্রস্তাব যাচাইয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের যাচাই কমিটি গঠন করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।
পর্যালোচনা কমিটিকে বেতন গ্রেড ১৩ থেকে ২০তম পর্যন্ত পদে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতি নির্ধারণ; বেষ্টনী (আমব্রেলা) নিয়োগবিধি প্রণয়নের আইনগত ও প্রয়োগিক বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা; বছরভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরীক্ষা গ্রহণ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জন্য পদভিত্তিক একটি পুল গঠনের বিষয়টির প্রায়োগিক সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এছাড়াও বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের অফিসের ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম কমিশনের আওতাভুক্ত করা হলে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে কিনা- তার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্যও বলা হয়।
কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন করে কর্মকর্তা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা) ও যুগ্মসচিব (বিধি-১) সদস্য হিসেবে রয়েছেন। জনপ্রশাসনের উপসচিবকে (বিধি-১) সদস্য সচিব করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রশাসনে সব সময়ই আড়াই থেকে তিন লাখের মতো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ খালি থাকে। মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো এ পদে কর্মী নিয়োগ দেয়। এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ চলে আসছিল। সে পরিপ্রেক্ষিত্রে এই উদ্যোগ নেয় সরকার।