সরকারের গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও জনতা ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।ব্যাংকটির ইউজিসি ভবন শাখার মধ্যে রোববার (১৬ আগস্ট) এ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান এবং জনতা ব্যাংতের ইউজিসি ভবন শাখার ব্যবস্থাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।এ চুক্তির আওতায় ইউজিসিতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ঋণ পাবেন। মাত্র ৫ শতাংশ সরল সুদে ২০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন তারা। ২০ বছর মেয়াদি এ ঋণের বাকি ৪ শতাংশ সুদ সরকার পরিশোধ করবে।চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর প্রধান অতিথি এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এসময় স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং ও কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারখ, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম, জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. মুরশেদুল কবীর ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল কবির উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে প্রফেসর আলমগীর বলেন, এ ঋণ চুক্তি কমিশনের জন্য অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ এবং এটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রত্যেক চাকরিজীবীর একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাটের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু এ মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। শুধু বেতনের টাকায় এটি পূরণ করা সম্বব নয়। এজন্য সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। সরকারি চাকরিজীবীদের সহজশর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারকে তিনি ধন্যবাদ জানান। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারের সৎ কর্মচারীরা কাজে উৎসাহিত হবেন।তিনি আরও বলেন, এ ঋণ সুবিধার মাধ্যমে ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের স্বপ্নপূরণ করতে পারবে। তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাও পূরণ হবে।ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঋণ চুক্তি ইউজিসি এবং দেশের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি মাইলফলক হবে। এর মাধ্যমে ইউজিসি ও জনতা ব্যাংকের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন রচিত হবে।তিনি জানান, এ ঋণ সরকারি নিয়মে দেওয়া হবে এবং এতে কোনো ধরনের গোপনীয় চার্জ থাকবে না। সেবা দেওয়ায় জনতা ব্যাংকের গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রমালিকানাধীন এ তফসিলি ব্যাংকটি আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা ও পরামর্শ দিতে বদ্ধপরিকর।কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, ইউজিসি ঋণ পরিশোধে শতভাগ নিশ্চিয়তা দিচ্ছে। এখানে কেউ ঋণ খেলাপি হবেন না। তিনি কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নিয়মানুযায়ী নির্বিঘ্নে ঋণ বিতরণে জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।