নাইজারে বন্দুকধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে ফ্রান্সের ছয়জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় স্থানীয় গাইড ও গাড়িচালক নিহত হন। আজ সোমবার কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
তিলাব রি এলাকার গভর্নর তিদজানি ইব্রাহিম এএফপিকে জানান, বন্দুকধারীরা ওই এলাকায় মোটরসাইকেলে করে পৌঁছায়। সেখানে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। কুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে ওই দলটি পশ্চিম আফ্রিকার জিরাফ দেখতে গিয়েছিল।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেশটির নাগরিকদের নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।
নাইজারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসোফুউ কেতাম্ব রয়টার্সকে বলেন, ফ্রান্সের নাগরিকেরা আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী দলের জন্য কাজ করছিলেন। এর আগে কর্মকর্তারা তাঁদের পর্যটক হিসেবে অভিহিত করেন।
ফ্রান্সের বেসরকারি একটি সংস্থা এসিটিইডি নিশ্চিত করেছে, নাইজারের হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁদের কর্মীরা রয়েছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ নাইজারের প্রেসিডেন্ট মাহামাদু ইসোফুউকে গতকাল রোববার ফোনে তাঁদের ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার বিষয়টি জানান। এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি মাখোঁ।
বিবিসিতে প্রকাশিত ছবিতে মরদেহগুলো রাস্তায় গাড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গাড়িটিও পুড়ে গেছে।
নাইজারের রাজধানী নায়ামি থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরের পথ কুরে স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য কারা দায়ী, তা নিশ্চিত হয়নি। তবে নাইজারে জঙ্গি দলগুলো সক্রিয়।
ফ্রান্সের সরকার নাইজারের বেশ কিছু অংশে ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দিয়েছে। ফ্রান্সের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নায়ামি এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার হুমকি রয়েছে। ওই এলাকায় বোকো হারাম ও আল–কায়েদা জঙ্গি দলগুলো সক্রিয়।
জুন মাস থেকে ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকা ও ইউরোপের মিত্রদেশগুলো সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে অভিযান চালাচ্ছে ফ্রান্স।
কুর এলাকায় জিরাফের অভয়ারণ্যে অনেক পর্যটক যান।