দুস্থদের ঈদ ‘উপহার’ ১০০ টন পচা চাল

দুস্থদের ঈদ ‘উপহার’ ১০০ টন পচা চাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পচা ও জটাধরা ১০০ টন চাল শৈলকূপা খাদ্যগুদামে পাঠানো হয় দেড় মাস আগে। এরই মধ্যে সেই চাল দুস্থদের মাঝে ভিজিএফ হিসেবে বিতরণও করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ওই উদ্যোগ নেওয়া হলেও চালগুলো গরু-ছাগলেও খাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন জনপ্রতিনিধি ও সুবিধাভোগীরা।

শৈলকূপা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ আল রিপন জানান, ২০১৯ সালে কেনা পচা, নষ্ট ১০০ টন চাল হরিণাকুণ্ডু থেকে দেড় মাস আগে তাদের খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়। ঈদে দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য তা ৬টি ইউনিয়নে বিতরণও হয়েছে। এ নষ্ট চাল তিনি নিতে অস্বীকার করার পরও জোর করে পাঠানো হয়।
উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য গত সোমবার তাকে ১৬ টন চাল দেওয়া হয়, যা পরের দিন বিতরণ করা হয়। বিতরণ করা চাল সব পচা। তার মধ্যে ছোট ছোট পাথরকুচি আছে, যা গরু-ছাগলেও খাবে না। হরিণাকুণ্ডু থেকে পচা চাল শৈলকূপা খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। শুধু তাকে নয়, এমন চাল ৬টি ইউনিয়নে দেওয়া হয়েছে। একই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য ওয়াজেদ আলী অভিযোগ করেন, তার ওয়ার্ডে দুস্থদের মাঝে যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ নষ্ট, পচা, জটাধরা। এমন চাল গরু-ছাগলেও খায় না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যারা এ চালের ব্যবস্থা করেছে ঈদ সামনে রেখে- প্যাকেটজাত করে তাদের পরিবারে এটি পাঠানো উচিত। নাদপাড়া গ্রামের মান্নান জোয়ার্দ্দার জানান, তিনি ঈদ উপলক্ষে ১০ কেজি যে ভিজিএফের চাল পেয়েছেন তা নষ্ট, পচা ও জটাধরা।
যা গরুও খেতে চাচ্ছে না।
শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, শৈলকূপা খাদ্যগুদামে কোনো নষ্ট চাল নেই। হরিণাকুণ্ডু থেকে কিছু চাল শৈলকূপা পাঠানো হয়। ইউনিয়নে বিতরণের পর দেখা যায় তা খাওয়ার উপযোগী নয়।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন