ভারতের মাটিতে অবতরণ করল বহুল আকাঙ্ক্ষিত ফ্রান্সের তৈরি ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান রাফাল। চূড়ান্ত সতর্কতার মধ্যে নির্ধারিত সময়ে হরিয়ানার অম্বালা বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান।
আম্বালা বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছতেই তাদের ‘ওয়াটার স্যালুট’ জানানো হয়। ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়ার উপস্থিতিতেই এই অনুষ্ঠান হয়।
বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করে পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। তারপর আরব সাগরে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতার সঙ্গে কথোপকথন হয় রাফাল পাইলটদের। তাতে আইএনএস কলকাতার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গরিমার সঙ্গে আকাশ ছুঁয়ে ফেলুন। অবতরণের জন্য শুভেচ্ছা।’
প্রত্যুত্তরে রাফালের পাইলট বলেন, ‘ডেল্টা ৬৩, শুভকামনা এবং শুভ শিকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকেও জানানো হয় স্যালুট। এক টুইট বার্তায় জানানো হয় যে, ‘ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে পাখিরা। আম্বালায় অবতরণের জন্য শুভেচ্ছা।’
এর কিছুক্ষণ পরেই আম্বালা এয়ারবেসে অবতরণ করে ভারতীয়দের বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই যুদ্ধবিমানগুলো।
দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার পরে ভারতের কাছে এল বহুল প্রতীক্ষিত রাফাল। ৭,৩৬৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই ফাইটার জেটগুলো এসে পৌঁছেছে। ৩৬টি সুপারসোনিক ওমনিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফটের মধ্যে এই ৫টি ফাইটার জেট প্রথম পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ১২ জন ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলট রাফাল চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
ভারত ও ফ্রান্সের চুক্তি অনুসারে মোট ৩৬টি রাফাল ফাইটার জেট হাতে পাবে ভারত। ফলে ৩৬জন পাইলটকে রাফাল চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এর মধ্য়ে বেশিরভাগ পাইলটকেই ফ্রান্সে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে বলে জানা গেছে।
ফ্রান্স থেকে আসা পাঁচটি যুদ্ধবিমান পুরো সমরাস্ত্রে ঠাসা বলে জানা গেছে। অর্থাৎ অত্যাধুনিক মিসাইল আগে থেকেই লাগানো আছে। প্রায় ১৫০ কিমি দূরে থাকা যে কোনো শত্রু যুদ্ধবিমানকে মুহূর্তে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই মিসাইলগুলো। ভারত-চীন সংঘাতের পরিস্থিতিতে পুরোপুরি যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত করেই ফ্রান্স থেকে রাফালগুলো পাঠানো হয়েছে। সূত্র : কলকাতা ২৪, টাইমস অব ইন্ডিয়া।