মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ার ৩নং ফেরিঘাট পদ্মায় বিলীন হয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে এই ঘাটের প্রধান ৩নং ঘাটটিসহ আশপাশের একটা বড় অংশ পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। ঘাট এলাকার দোকান, পাশের একটি মসজিদ, বিআইডব্লিউটিসির নানা স্থাপনা, পন্টুনসহ বড়ো একটা এলাকা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের আকষ্মিকতা এতোটাই বেশি ছিল যে, লোকজন জিনিসপত্রও সরিয়ে নিতে পারেনি। ঈদের আগে গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে ঘরমুখো মানুষ পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়। ১ নং ফেরিঘাট দিয়ে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল সচল রাখা হয়েছে। চলছে পাঁচটি ফেরি। এই ঘাটে একটির বেশি ফেরি ভিড়তে না পারায় লোড-আনলোডে লাগছে দ্বিগুণ সময়। পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচলেও দ্বিগুণ সময় লাগছে। ভাঙনের আশঙ্কার থাকা ২ ও ৪ নং ঘাট দুটিও বন্ধ।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, যে ঘাটটি ভেঙে গেলো এটা মূলত রো রো ফেরি ঘাট। এ ঘাটে রো রো ফেরি আর বড় ফেরিগুলো ভিড়তে পারে। এই ঘাটটি বন্ধ হওয়া মানে ফেরি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া। ১নং যে ফেরি ঘাটটি সচল রয়েছে এ দিয়ে শুধু জরুরি গাড়ি পার করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের আর মাত্র তিনদিন বাকি। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে এই ঘাটে। ঘাটে এখন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ যান। গেল ১২/১৩ দিন ধরে এই রুটে পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দিনে সীমিত আকারে কোনো রকমে ফেরি চললেও রাতে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকছে। রো রো ফেরি চলতে না পারলে এখানে ঘরমুখো মানুষকে সার্ভিস দেওয়া সম্ভব না। বন্যার পানি আর ভাঙনের যে অবস্থা তাতে এই মুহুর্তে ঘাটটি স্থানান্তর কষ্টসাধ্য হবে। যাত্রীদের বিকল্প পথে চলাচলের জন্য তিনি অনুরোধ করেন । জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেছেন বিকল্প রো রো ঘাটটি স্থাপনের চিন্তা চলছে। তবে বন্যার পানি আর পদ্মার স্রোতে তা কষ্টকর হবে। তবে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে এই ঘাটে বিড়ম্বনায় না পড়ে সেজন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।