ঢাকা: বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম জাতীয় কাউন্সিলের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম কাউন্সিলের একটা অংশ। অর্থাৎ আমাদের দেশব্যাপী প্রতিটা জেলা, উপজেলা বা থানার যতটা ইউনিট আছে সেগুলো কাউন্সিলের আগেই সম্পন্ন করতে হয়। সেই কাজটা আমাদের শুরু হয়েছে। আমি বলবো, বিশ্ব পরিস্থিতি ও দেশের পরিস্থিতিতে আমাদের কখন কাউন্সিল করার সুযোগ সৃষ্টি হবে সেজন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। একটা সময় কাউন্সিল হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের বৃহত রাজনৈতিক দল। এর কাউন্সিল ভার্চ্যুয়াল বা অনলাইনে হয় না। কাউন্সিল মানে হলো ব্যাপক। প্রায় চার হাজারের মতো কাউন্সিলর আছে। তারপরে ডেলিগেইট। আপনারা জানেন যে, আমাদের কাউন্সিলে লাখ লাখ লোক সমবেত হয়। সব কিছু আপনাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশন প্রাঙ্গণে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে বিএনপি তার সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে। করোনা মহামারির কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে দলটি।
করোনা ভাইরাস সংক্রামণের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির স্থাযী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মানুষের জীবনে যে ঝুঁকি সব কিছু মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমাদের কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয় প্রত্যেকের স্বার্থে। আমি নিয়ম মানছি শুধু আমার স্বার্থে না, আরেকজনেরও স্বার্থে। এখন যে স্বাস্থ্যবিধি আছে সেখানে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বড় করার সুযোগ কম। তারপরেও কাজ শুরু করেছি। কাউন্সিল দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার একটা অংশ, এটা গঠনতন্ত্রেও নিয়ম আছে। গঠনতন্ত্র তো দলের জন্য, জীবনের জন্যই। সেকারণে আমাদের কাউন্সিলটা যেসময় হওয়ার কথা সেসময়ে হয় নাই। ভবিষ্যতে হবে।
জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ আসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।