দিনাজপুর: সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় রবিউল ইসলাম (৪৩) নামে এক সাবেক সরকারি কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রবিউল পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
এর আগে, শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) তাকে আটক করা হয়। আটক রবিউল ইসলাম জেলার বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে।
ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিউল ইসলাম নামে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সরকারি কর্মচারীকে আমরা আটক করেছি। আটক রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করেছেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশকিছু আলামত উদ্ধার করেছি। এছাড়া তার বক্তব্য ও জব্দ করা সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। আমরা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করব।
সংবাদ সম্মেলন শেষে আটক রবিউল ও এই মামলার প্রধান আসামি আসাদুলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম সাতদিন রিমান্ড শেষে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাকে আদালতে সোপর্দ করে। এছাড়া ইউএনওর বাসভবনের নৈশ্যপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।