আমাদের রাজস্ব-ডিডিপি অনুপাত উগান্ডার চেয়েও খারাপ : এনবিআর চেয়ারম্যান

আমাদের রাজস্ব-ডিডিপি অনুপাত উগান্ডার চেয়েও খারাপ : এনবিআর চেয়ারম্যান

সমাচার ডেস্ক: এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, প্রতি বছর রাজস্ব আয় বাড়লেও জিডিপির তুলনায় তার পরিমাণ খুবই কম। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার জিডিপির তুলনায় রাজস্বের হার সাড়ে ১২ শতাংশ। আমরা অনেক সময় উগান্ডাকে নিয়ে হাসাহাসি করে থাকি। কিন্তু জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আহরণে আমাদের অবস্থান উগান্ডার চেয়েও খারাপ।

রাজস্ব আয় বাড়ানো ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব ভবনে ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জিডিপির কোন অংশ থেকে রাজস্ব আদায় করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। আমাদের ভ্যাট ও আয়কর থেকে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে।

আয় বাড়াতে না পারলে আমরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ব। একটা পরিবারে যেমন আয় না বাড়লে ঋণের বোঝা বাড়ে, রাষ্ট্রের জন্যও এটা প্রযোজ্য। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। তবে কোনো ধরনের জোর জবরদস্তি বা জুলুম করে আমরা আদায় করতে চাই না।

যারা কর দেয় না, তাদের করের আওতায় আনতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাট সপ্তাহ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট সপ্তাহ পালন করা হবে। এবারের ভ্যাট সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’। নিবন্ধনকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছরের ভ্যাট দিবস ১০ ডিসেম্বর (আজ) থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বিশেষ নিবন্ধন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে এনবিআর।

ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নতুন করে এক লাখ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনবে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে বহু প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধনের আওতার বাইরে রয়েছে। এর সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতার সংখ্যাটা অনেক বেশি।’

চলতি অর্থবছরে নতুন করে ৫৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এনবিআরের জন্য সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। লক্ষ্যমাত্রা যত বাড়বে চ্যালেঞ্জও তত বাড়বে। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমরা কাজ করছি। এজন্য কর ফাঁকি রোধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এনবিআরের যেসব গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক কর ফাঁকি উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি এবং আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে।

..

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::