হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে কটুক্তি: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে কটুক্তি: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

জাককানইবি প্রতনিধি:জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার (১১ই এপ্রিল) ধর্মবিদ্বেষকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।এর আগে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুদ্বীপ নামে স্থানে ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪ শিক্ষার্থীর মাঝে হাতাহাতি হয়। চার শিক্ষার্থীরা হলেন ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সারোয়ার মীম, আবির, নাইমুল ইসলাম মঈন, শেখ সাকিবুর রহমান।

শেখ সাকিবুর রহমান বলেন, আমি ওদের কাছে যেতেই আবির বলা শুরু করে ঐ দেখ আল্লার বান্দা আসছে,তোর কবরে প্রস্রাব করে দিব। তারপর আমার উপর সারোয়ার মীম ও আবির আক্রমণ করে। মঈন ফিরাতে গেলে তাকেও আক্রমণ করে। তারপর আমাদের ট্রিটমেন্টের জন্য ত্রিশাল হসপিটালে নেওয়া।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী অভি ফকির জানায়, আমি এবং রাশেদুল ইসলাম রাতুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট গেইট দিয়ে আসিতেছিলাম তখন মাদকাসক্ত সারোয়ার মীম,আবীর, ইরফান, সাদ সহ আরো অনেকেই লাঠি, রড সহ ধার্মিকরা যাচ্ছে বলে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আমরা আহত হই এবং ত্রিশাল হসপিটালে নেওয়া হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানাজানি হলে পূর্বের বিভিন্ন সময় ধর্মবিদ্বেষ ও হযরত মোহাম্মদ সা: কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করে। এতে সারোয়ার মীম ও আবির আহত হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইনান হাসনাইন শ্রেষ্ঠ নিজেকে গড বা সৃষ্টিকর্তা দাবি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট গেইট সংলগ্ন রেইনটাচ নামক মেসে তার রুমের নাম গড’স রুম।রেইনটাচের মেসে থাকা আরেক শিক্ষার্থী শ্রী অভিক চন্দ্র তালুকদার ও তার অনুসারীরা ফিল্ম জোনকে মক্কা শরীফ দাবি করে। এই মেস তাদের আস্তানা। নব্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তারা এই মেসে ডেকে নিয়ে জোড় করে গাঁজা খাওয়ায় এবং ধর্মবিদ্বেষ সৃষ্টি করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই বিভাগের শিক্ষার্থী জানায় ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌমিক বকশী দীপ্ত ও ইরফান মেসে ডেকে নিয়ে ২ ঘন্টার অধিক সময় মানসিক নির্যাতন ও পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::