নরসিংদীতে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নরসিংদীতে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ
আশিকুর রহমান :নরসিংদীর বেলাবতে এক পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের পর এবার রায়পুরা উপজেলায় ৩ সন্তানের জননী পঞ্চাশোর্ধ এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
পরপর এধরণের ঘটনায় জেলাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। তবে বেলাব এর ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছেন। আটককৃতরা হলেন, বেলাব উপজেলার মাটিয়াল পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩২) ও একই উপজেলার দক্ষিণ বটেশ্বর গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে শাহজাহান মিয়া (৩৫)।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বেলাব উপজেলার পোশাককর্মী ওইনারী এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে পাশর্বতী শিবপুর উপজেলায় বাসা নিয়ে ভাড়া থাকেন। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে। তিনি একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ওই নারীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রায়ই শাহজাহানের কথা হতো। গত ১৪ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শাহজাহান তাঁকে বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান। বাসস্ট্যান্ডের কাছেই একটি এনজিও অফিসকক্ষে নিয়ে শাহজাহান ও এনজিওর কর্মচারী দেলোয়ার তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী ওইনারী তাদের বিরুদ্ধে বেলাব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অপর আরেক ঘটনায় রবিবার (১৬ মার্চ) রায়পুরা উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামে পঞ্চাশোর্ধ তিন সন্তানের একনারীকে তার নিজ গৃহে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এসময় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ভয়-ভীতি ও হত্যার হুমকিরও অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
রবিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
জানা যায়, একই গ্রামের রতন মিয়ার মাদকাসক্ত ছেলে রাকিব মিয়া (৩২) অজিত চন্দ্র দেবনাথের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় উপস্থিত রাকিবের দুই সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। পরে রাকিব ও তার সহযোগীরা ওই নারীর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। চলে যাবার সময় হুমকি দিয়ে বলে, এ কথা যদি কাউকে জানায় তবে স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে জবাই করে হত্যা করবে।
অভিযুক্ত রাকিব মিয়া একজন মাদককারবারি। তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে অভিযোগ করতে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কলিমুল্লাহর সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বর্ণনা দেন। ঘটনা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি ওসি (তদন্ত) কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::