আব্দুল হামিদ, সন্দ্বীপ: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৩৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়ে প্রান্তিক মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে বাউরিয়া মোস্তাফিজুর রহমান কমিউনিটি ক্লিনিকটি প্রায় বন্ধ থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি টাকার বিনিময়ে ঔষধ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে এলাকাবাসীর।
অভিযুক্ত কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি’র নাম মোঃ সোহেল। অভিযোগের বিষয়ে ৮ মার্চ (শনিবার) সরেজমিনে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি । মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি। এতে করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাউরিয়া ০৮ নং ওয়ার্ডের সুবিধাবঞ্চিত জেলাপাড়া ও বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা। এখানে নারীদের গর্ভকালীন, প্রসবকালীন, শিশুস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা। কিন্তু ক্লিনিকটি বেশিভাগ সময় বন্ধ থাকায় এলাকাবাসী পড়েছে বিপাকে।এসময় সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা যায় ৫৫ বছর বয়সী দুইজন নারীকে। ক্লিনিকের বিষয়ে কথা হলে তাঁরা জানান, ‘টানা দুই দিন এসেছি। দুই দিনই ফিরে যেতে হয়েছে। যদি ক্লিনিক বন্ধই থাকে তাহলে এর দরকারটা কি।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘ক্লিনিকটি এতে দূর-দূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা লোকজন হতাশ হয়ে ফিরে যান।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, কমিউনিটি ক্লিনিকে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার না থাকলে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা সেখানে সপ্তাহে ছয়দিন কাজ করার কথা।
একইদিন সাড়ে দশটায় উপজেলার হারামিয়া কমিনিউটি ক্লিনিক পরিদর্শনে গেলে বন্ধ পাওয়া যায়। দায়িত্বরত সিএইচসিপি ইকবাল হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।, যদিও সপ্তাহে ছয় দিন খোলা থাকার কথা।বেলা এগারটায় কাছিয়াপাড় কমিনিউটি ক্লিনিকও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাস বলেন, ইকবাল ছুটিতে আছে সোহেল ছুটিতে নেই। বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাঁর কাছে ছুটিতে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন কমিনিউটি ক্লিনিক বন্ধ রাখা যাবে না। ছুটির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সহকারীর মাধ্যমে হলেও কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা রাখতে হবে।