মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:বাঘের গর্জন নদীর বাঁকে, ঐক্য মোদের প্রাণের ডাকে” এই স্লোগানকে ধারণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) খুলনা জেলা সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. নাঈমুল হাসান খান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইশরাত ফিরো ইফতি।
গত ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাজশাহীর নানকিং দরবার হলে আয়োজিত “নবীন বরণ, বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০২৫” অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা সমিতির অ্যালামনাস, শিক্ষকবৃন্দ ও উপদেষ্টা পরিষদের সম্মতিক্রমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন সহ-সভাপতি দেবু দাস ও এম. এম. মাশরুফ আলম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়েবুর রহমান শেখ ও অজয় সিংহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম রাফায়েল আলম তমো ও ফয়সাল আলম,কোষাধ্যক্ষ ফারহানা আক্তার যুথী, প্রচার সম্পাদক শাহাবুর খান ও আইরিন আফরোজ।
প্রোগ্রামের শুরুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও খুলনা জেলা সমিতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-এর উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পুরনজিত মহালদার স্যারের সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রফেসর ড. রুকসানা বেগম, নবগঠিত কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করে বলেন,আমরা উপদেষ্টা পরিষদ, অ্যালামনাস, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়তে চাই। খুলনা জেলা সমিতির সদস্যরা শুধু সংগঠনের জন্য নয়, সমাজের প্রতিটি কল্যাণমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সমিতির আজীবন উপদেষ্টা ও নানকিং গ্রুপের সিইও এহসানুল হুদা দুলু বলেন,খুলনার মানুষ যেখানেই থাকুক, তারা একে অপরের পাশে থাকবে—এটাই আমাদের ঐতিহ্য। একতাবদ্ধ থাকলে আমরা সব ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে পারব। খুলনার যেকোনো প্রয়োজনে আমি সবসময় পাশে আছি।
বিদায়ী সভাপতি এস এম তাহমিদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. রুকসানা বেগম (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগ), প্রফেসর এস.এম শাহিনুল ইসলাম (ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স), প্রফেসর ড. মুহা. বেলাল হুসাইন (আরবি বিভাগ),প্রফেসর ড. মুর্শিদা ফেরদৌস বিনতে হাবিব (মনোবিজ্ঞান বিভাগ),মোঃ রাকিবুল ইসলাম (সহকারী অধ্যাপক, ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ), কাশফিয়া রেজা তন্বি (সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, রুয়েট)
এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র এরিয়া কোঅর্ডিনেটর মো. মনিরুল হক, খুলনা জেলা সমিতির আজীবন উপদেষ্টা ও ওরিয়ন হোম অ্যাপ্লায়েন্স লিমিটেডের জোনাল ম্যানেজার (সেলস) মো. তানভীর আহমেদসহ আরও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী সভাপতি এস. এম. তাহমিদ হাসান বলেন “খুলনা জেলা সমিতি শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি আমাদের পরিবার। নতুন কমিটির হাত ধরে এই পরিবার আরও সমৃদ্ধ হবে, খুলনার শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করবে।”
আল ইমরান, বগুড়া : বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময় সরকার পরিবর্তন হইলে অনুমোদন বন্ধ হয়। ফলে আলোর মুখ দেখেনি বগুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়,