দুমকি প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) মাদকসেবন ও কেনা-বেচার সময় হাতেনাতে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা শাখার প্রধান মুকিত মিয়ার নেতৃত্বে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পিছনের পুকুর সংলগ্ন এলাকায় মাদকসেবনরত অবস্থায় ২ জন মাদকসেবীকে হাতেনাতে আটক করে সিকিউরিটি টিম। আটকরা হলেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার রাজাখালী গ্রামের আমিনুল ইসলামের পুত্র ইকবাল আজিজ (১৮) ও দক্ষিণ দুমকি গ্রামের কালাম খন্দকারের পুত্র মোঃ রাফি খন্দকার (১৭)। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করেন নিরাপত্তা শাখার কর্মীরা।
মাদকসেবীদের দেওয়া তথ্য অনুযয়ী এক মাদক বিক্রেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনপুলের সামনে থেকে মাদক বেচাকেনার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। আটককৃত মাদক বিক্রেতা হলেন ভোলা জেলার সদর উপজেলার মোঃ হারুনের পুত্র মোঃ সিয়াম (২০)।
তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য ইউএনও কে জানান। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালত আটক সিয়ামকে ৬ মাস ও ইকবাল আজিজকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২ জনকে ১০০ টাকা করে অর্থদণ্ড করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আটক মোঃ রাফি খন্দকার অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, বর্তমানে প্রক্টরিয়াল টীমসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নিয়মিত টহল ও তদারকি করছি। বর্তমানে আমাদের চলমান এই অভিযান ও তদারকির ফলে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মাদকের প্রাপ্তি ও সহজলভ্যতা কমাতে পেরেছি।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।