বগুড়া প্রতিনিধি:::বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বগুড়া জেলা বিএনপি দিবসটি পালন করে শোভাযাত্রাটি আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।সভাযাত্রায় অংশ নেয় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, আহসানুল হক তৈয়ব জাকির, মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন-নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, এ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশসহ বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। শোভাযাত্রায় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল, কৃসক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এদিন সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জড়ো হয় বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে সমাবেশ করে বিএনপি সেখানে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে সিপাহী, জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশ শাসনের ভার দেয়া হয়। আজ আমরা স্বাধীনভাবে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করতে পারছি। এই শোভাযাত্রা প্রমান করে বগুড়া বিএনপির ঘাটি।’
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এসময় তিনি ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানান।