‘এটা পুরোপুরি তার মানসিক অবস্থা, এর মধ্যে একটা টি-টেন টুর্নামেন্ট আছে, হয়তো আমরা এখনও পারমিশন দেইনি। আমি এখনও অনুভব করি সাকিব বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারে অন্তত ৫০ ওভারের খেলায়। খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আছে আমাদের সামনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটা ওয়ানডের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে মনে হচ্ছে এই সিরিজটা সে মিস করবে। ’
সাকিব দেশে ফিরতে পারছেন না নিরাপত্তার কারণে। এ অবস্থায়ও তাকে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অন্তত ৫০ ওভারের ফরম্যাটে তাকে দলে দেখছেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু দেশে না এসে বাইরে থেকে খেলা চালিয়ে যাওয়া কতটা কঠিন হবে?
ফারুক বলেন, ‘এটার জন্য আমরা কাজ করছি। সে প্রায় খেলছিলই গত ম্যাচটা ঢাকায়। এটা অলমোস্ট সার্টেন। আমি দুবাই ছিলাম অফিশিয়াল ভিজিটে। তখন সাকিব দুবাই ছিল। এই কলটা ছিল সাকিব আসবে কি না, এখান থেকে তারা বলবে সিকিউরিটি দিতে পারবে কি না। আমি কেবল এটার মাঝখানে। ’
‘যে খেলোয়াড়রা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে, গ্রুম হয় ওভাবে। আজকে খেলবে, রাতে কম ঘুম হবে, পরের দিন অনুশীলন করে আবার ম্যাচ খেলবে। তার আমার মনে হয় খেলোয়াড় হিসেবে এ যে অনুশীলন একসঙ্গে করতে পারছে না। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে এটা খুব কঠিন কিছু হবে না যদি সে তার অনুশীলন করে, নির্বাচক প্যানেল বা বোর্ড ভাবে যে সে খেলতে পারে। ’
কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চলাকালীনই সাকিব জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে শেষ ম্যাচ খেলতে চান। কিন্তু বাধার মুখে সেটি পারেননি। এ নিয়ে কি সাকিবের মনে কোনো অভিমান আছে? এমন প্রশ্ন ছিল ফারুকের কাছে।
তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের যেটার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আপনি যদি খেলোয়াড় না হন, বোঝা কঠিন। যেহেতু আমি খেলোয়াড়, জানি ওদের মানসিক অবস্থা কী। আমি কিন্তু এখনও ভালো, খারাপ কিছু নিয়ে বসি নাই। এই যে স্ট্রেসের কাজটা। এ কিন্তু মেন্টালি ডিস্টার্বড হবেই। এটা খুব স্বাভাবিক, সে মানুষ। ’
‘যত শক্ত মাথাই থাক না কেন। সেক্ষেত্রে যেহেতু শেষ টেস্টটা খেলতে পারেনি, সে আপসেট থাকবে। এমন একটা কারণ তার দিকের, আপনি হয়তো মানবেন না। সে যা করেছে, প্রাপ্য বলবো না, এরকম হতে পারে। আমার মনে হয় মানসিকভাবে… হয়তো আপসেট ছিল, অনুশীলন ওরকম করে করতে পারে নাই। সে অনেক পেশাদার, সে ভেবেছে অনুশীলন করে নাই, এই সিরজে তার জন্য বা দেশের জন্য ভালো হবে না। সে রিগ্রুপ করবে। এর মধ্যে একটা টি টেন আছে, এটা কোনো টুর্নামেন্টের সঙ্গে ক্ল্যাশ করে না। এটা খেলে সে দেখবে খেলোয়াড় হিসেবে কামব্যাক করতে পারে কি না। ’