এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।শুনানিতে তিনি বলেন, এই আসামি একজন ব্যারিস্টার। তিনি কেন পালিয়ে থাকলেন? কারণ তিনি কোটা আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার শপথ করেন। তিনি নিজে অপরাধ করেছেন বলেই পালিয়ে ছিলেন। তার সঙ্গে এ মামলাসহ গণহত্যায় জড়িত অনেকের যোগাযোগ থাকতে পারে। তাই এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং মূলরহস্য উদঘাটনে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা একান্ত আবশ্যক।
আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল নিক্ষেপ করে, গুলিও চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি।এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তিন নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।