শনিবার (৫ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এ সংবাদ সম্মেলনে আরও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মাহফুজ আলম বলেন, প্রশাসনের বাইরে দলীয়ভাবে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ধীরে ধীরে সবাইকে সঠিক মামলা এবং তদন্তের ভিত্তিতে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এটা আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।সব পর্যায়ের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, প্রশাসনের ভেতরে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর তাদের ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান আছে। সরকার এই ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয়। যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল তাদের কীভাবে শাস্তির আওতায় আনা যায়, তারা যে যে অপরাধ করেছে সেই অপরাধের শাস্তির আওতায় আনার ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান আছে।তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় মাস। এই সময়ের মধ্যে সরকার মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিদ্যমান জনগণের আকাঙ্ক্ষার জায়গাগুলো থেকে যে সংস্কার রয়েছে সে সংস্কারগুলো করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। একই সঙ্গে প্রশাসনের যেসব জায়গাতে ফ্যাসিবাদের দোসররা সক্রিয় ছিল, এরই মধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অনেকের নামেই মামলা আছে। এসব ক্ষেত্রে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, শেখ হাসিনাই নন শুধু, যতজন গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সবার বিচারের ব্যাপারে বিএনপি তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছে স্পষ্টভাবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট করেছি যে- আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, ট্রাইব্যুনালে এরই মধ্যে অনেক মামলা চলমান আছে এবং গুমের যে অভিযোগগুলো পড়েছে তার ভিত্তিতে আয়নাঘর পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছে। এই কাজগুলোও চলমান আছে।
দ্রব্যমূল্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের পক্ষপাতি এবং প্রথম থেকেই সরকার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আপনারা জানেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা বেহাল দশা ছিল এবং ধীরে ধীরে তারা নিজেদের অবস্থানে ফেরত আসছে।
মাহফুজ আলম বলেন, আমরা আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করার সুযোগ তৈরি হবে। এর পরবর্তীতে আশা করি দ্রব্যমূল্যর একটা সুরাহা আমরা করতে পারবো।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর।