এবার তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইমকে। যেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা হতাশ। এমনকি তিনি সামনে সংসদ নির্বাচন হলে সেখানে অংশ নিতে ফিরবেন কি না, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেন, তার মা (শেখ হাসিনা) দেশের পরিস্থিতিতে খুবই হতাশ। কারণ, তার গত ১৫ বছরের সব পরিশ্রম প্রায় বিফলে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে আছে ‘গণহত্যা’ ও ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’র অভিযোগ। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন অনেকে। এমন দাবি জয়ের কাছে ‘উপহাস’ মনে হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলকে আপনি কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? এটি আইনিভাবে সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাটের দায়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির তথ্য বলছে, হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছেন।
গত সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট জয়ের স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে। তবে তিনি সব দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কোথায় টাকা, আমাদের দেখান। অভিযোগ তোলা সহজ। শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে (দেশে) ফিরবেন কি না, এ প্রসঙ্গে জয় বলছেন, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
যদি পরিস্থিতির ‘দৃশ্যমান উন্নতি না দেখা যায়’ তবে লোকজন ধৈর্য হারাবে, বলেন জয়। তিনি সেই অপেক্ষায় রয়েছেন। চলমান পরিস্থিতিকে ‘অস্থিতিশীল’ উল্লেখ করে হাসিনাপুত্র বলেন, তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) যদি এক বছর বা ১৮ মাস দেশ চালায়, তাহলে ঠিক আছে। নিজের রাজনীতিতে আসার প্রশ্নে জয় বলেন, আমার কখনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, কে জানে? আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।