এরই মধ্যে ঢাকা থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় চাহিদা মেটানো ছাড়া ইলিশ রফতানি করা হবে না।গত ৩ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ভারতে কোনো ইলিশ যাবে না। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ মাছ বিদেশে রফতানি করা হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে, সেটা হতে পারে না। ফলে এবার দুর্গাপূজায়ও ভারতে যাতে কোনো ইলিশ না যায় তার জন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি।
এই ধোঁয়াশা-অনিশ্চয়তার মধ্যে ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘১৯৯৬ সাল থেকে আমরা বাংলাদেশের ইলিশ আমদানি করে আসছি। প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমরা পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করে আসছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১২ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন সরকার ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয়, যার কারণ তারাই ভালো বলতে পারবে। তারপর থেকে আমরা ওই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আবেদন জানিয়ে আসছি, কিন্তু সাড়া পাইনি। ’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘গত পাঁচ বছর (২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কেবল দুর্গাপূজার সময় শুভেচ্ছা স্বরূপ নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রফতানির সুযোগ দিয়েছে। এ সংক্রান্ত নথি আবেদনে যুক্ত করা হলো। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিতে আমরা আপনার হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করছি। এটা উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশের ইলিশের অনেক চাহিদা আছে। ’
অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিবর্তনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানাই। ‘নতুন বাংলাদেশ’র সঙ্গে ভারতের দৃঢ়তর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অনিঃশেষ শুভকামনা নিয়ে আমরা মুখিয়ে আছি।