উত্তরা থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী মো. বেলাল হোসেন জানান, উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডে নির্মাণাধীন ১৪ তলা ভবনের রাজমিস্ত্রির কাজ করেন তারা। ভবনটির নবম তলার বাইরের দিকে মাচান বেঁধে কাজ করছিলেন মাসুম, অলিউল্লাহ ও ইয়াকুব। তখন মাচানটির রশি ছিড়ে তারা তিনজনই ভবন থেকে নিচে পড়ে যান। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে অলিউল্লাহকে সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য মাসুম ও ইয়াকুবকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুমও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন ইয়াকুব। তাদের তিনজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায়। বর্তমানে ওই ভবনেই থাকতেন এবং সেখানে কাজ করতেন।
অন্যদিকে বাড্ডা থেকে নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী ও বড় ভাই আবু বক্কর জানান, আফতাবনগর লোহার ব্রিজ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনে রাজমিস্ত্রি কাজ করেন এবং সেখানেই থাকেন তারা। ৮ম তলায় মাচান বেঁধে কাজ করছিলেন নাসির উদ্দিন ও জাহিদ নামে দুই শ্রমিক। মাচানটির রশি ছিড়ে তারা দুজনই নিচে পড়ে যান। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক নাসিরকে মৃত ঘোষণা করেন। ভর্তি রয়েছেন জাহিদ। তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, নিহত মাসুম ও নাসিরুদ্দিনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আহত ইয়াকুব ও জাহিদ জরুরি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।