দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই বছরের মধ্যেই পদত্যাগ করল এই কমিশন। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে গেলে নব্বই দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটের আয়োজন না করলে ইসিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছেন এ সরকারের সংশ্লিষ্টরা।যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে এবং নির্বাচনের কোনো রূপরেখা নেই, সংবিধানও কার্যত অঘোষিতভাবে স্থগিত হয়ে পড়েছে, তাই কমিশন পদত্যাগ করেছে বলে মত ইসি কর্মকর্তাদের।
কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনিসহ তার কমিশনের সদস্যরা পদত্যাগ করার জন্য মনস্থির করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার জন্য পদত্যাগপত্রগুলো ইসি সচিবালয়ের সচিবের কাছে তারা জমা দিয়েছেন।নিজের বক্তব্য পড়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সিইসি।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও মো. আহসান হাবিব খান সঙ্গে ছিলেন। তবে অন্য নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান নির্বাচন ভবনে থাকলেও সিইসির পদত্যাগের সময় উপস্থিত ছিলেন না।