সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ভিকি থমাস সিং-কে বলতে শোনা যায়, ইতিহাস বদলানো যায় না। যদি তারা শিখদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তুলে ধরেন, তাহলে মনে রাখবেন যার সিনেমা বানাচ্ছে, তার পরিণতি কী হয়েছিল। মনে রাখবেন সতবন্ত সিং এবং বিয়ন্ত সিং কে ছিলেন। যারা আমাদের আঙ্গুল দিয়ে খোঁচায়, তাদের আঙুলই কেটে দেই আমরা। আমরা যদি নিজেদের গলা কাটাতে পারি, তাহলে গলা কাটতেও পারি।
ভিডিওতে অন্য একজন বলছেন, আপনি যদি এই সিনেমা রিলিজ করেন তাহলে সর্দাররা আপনাকে চপ্পল দিয়ে মারবে। থাপ্পড় তো খেয়েই নিয়েছেন। আমি খুব গর্বিত ভারতীয়। আমার দেশে এবং আমার মহারাষ্ট্রের কোথাও যদি আমি আপনাকে দেখতে পাই, শুধু একজন শিখ এবং একজন গর্বিত মারাঠি হিসেবে নয়, আমার সমস্ত হিন্দু, খ্রিস্টান এবং মুসলিম ভাইয়ের হয়ে আপনাকে চপ্পল দিয়ে স্বাগত জানাব।
প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী এবং বিতর্কিত অভিনেতা আজাজ খানকেও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিও শেয়ার করেছেন কঙ্গনা নিজেই। পোস্টে মহারাষ্ট্র, হিমাচল ও পাঞ্জাব পুলিশকে ট্যাগও করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, দয়া করে এই বিষয়টি একটু দেখুন।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত, পরিচালিত ও প্রযোজিত সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’র। ‘গণতান্ত্রিক ভারতের অন্ধকারতম সময়ের’ ঝলক হিসাবে ইমার্জেন্সি পিরিয়ডকে সিনেমার ট্রেলারে তুলে ধরা হয়েছে।
১৯৭৫ সালের জুন মাসে দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেসময় একটানা ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। বলা হয়, গদি বাঁচাতে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেন নেহেরু কন্যা। সেই বিতর্কিত অধ্যায়ই এবার রুপালি পর্দায়।
আসন্ন সিনেমাটিতে কঙ্গনাকে দেখা যাবে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে। এছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপেড়ে এবং প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশক।