মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতির অভিযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে ডাকাতদলের দুই সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় শিবচর থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) শিবচর থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলজার আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিনশতাধিক ব্যক্তির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী দেখার হাওলাদার বাদী হয়ে ডাকাতির অপর মামলা দায়ের করেন। শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.গোলজার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গনপিটুনিতে নিহত মিরজন খালাসী বাঁশকান্দি ইউনিয়নের সুন্তুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে। আহত আসমত আলী খান ওরফে হাসমত মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার রত্তন খানের ছেলে।
শিবচর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে শিবচর উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সুন্তুক এলাকার আবদুল হালিম ফকিরের বাড়িতে ৫ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে হানা দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দলটি পালিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার ভ্যানচালক দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ডাকাতরা ওই বাড়ির কিষান তুষার হাওলাদারকে জিম্মি করে দেলোয়ার হাওলাদারের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দেলোয়ারকে আহত করে লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তুষার দৌড়ে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এ সময় ডাকাত দল বাজিতপুর ও চর ছলেনামা এলাকায় ঝোপঝাড়ের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের সদস্য মিরজন খালাসী ও হাসমত বেপারীকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মিরজন মারা যায়। পরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাসমতের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা এবং ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ডাকাতির মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে একই ডাকাতির অভিযোগে ওই দিন ভোরে বাজিতপুর এলাকা থেকে সাগর হাওলাদার (২৮) ও কামাল (৬৫)কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলকাবাসী। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলজার আলম বলেন, ‘ডাকাতি এবং গনপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
