নিউজ ডেস্ক : বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ফেনী সদর থানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় বাদী হয়েছে পুলিশ ও আরেক মামলার বাদী হয়েছেন এক আওয়ামী লীগ কর্মী।এ নিয়ে গত চার দিনে জেলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা করা হলো। এর মধ্যে ফেনী সদর মডেল থানায় সাতটি ও অপর পাঁচটি থানায় একটি করে মামলা হয়েছে।জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আরও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে চার দিনে মোট ৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানায়, বিএনপির টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা নানা ধরনের নাশকতা ও জনগণের জানমালের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করছিলেন। এসব ঘটনায় গত রোববার, সোমবার, মঙ্গলবার ও আজ বুধবার ফেনী সদর মডেল থানায় সাতটি, দাগনভূঞা থানা, সোনাগাজী থানা, ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া থানায় একটি করে মোট পাঁচটি মামলা করা হয়।ফেনী মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে ফেনী সদর মডেল থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপির ৩১ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এছাড়া উপপরিদর্শক (এসআই) কোমল কুমার সাহা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে অপর একটি মামলা করেছেন। তৃতীয় মামলাটির বাদী শহরের পূর্ব উকিলপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ। ওই মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করা হয়।বুধবার রাতে ফেনী সদর মডেল থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে, পরশুরাম থানা পুলিশ দুজনকে, ফুলগাজী থানা দুজনকে, ছাগলনাইয়া থানা দুজন এবং সোনাগাজী ও দাগনভূঞা থানা একজন করে মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন এসব মামলাকে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে গায়েবি মামলা বলে দাবি করেন। তারা বলেন, সরকার দিশেহারা হয়ে এখন গণগ্রেপ্তারের পথ বেছে নিয়েছে।ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান জানান, জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থেই দায়িত্ব পালন করেছে পুলিশ। ক্ষতিকর কাজে লিপ্ত থাকলে পুলিশ কাউকে ছাড় দেবে না।