আবুল কালাম আজাদ(রাজশাহী): রাজশাহীতে কয়েকদিনর টানা বৃষ্টিতে কৃষি জমি তলিয়ে গেছে। ফসলের মাঠে পানি উঠে পচন ধরেছে ফসলে। আর এতে করে সবজির দাম বেড়ে গেছে কয়েক গুণ বেশি। নিম্নআয়ের মানুষদের সবজি কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মাছ-মাংস ও ডিমের দাম বাড়তে থাকায় নিম্নআয়ের মানুষ সবজির উপরে নির্ভরশীল। তবে এখন সেই সবজির দাম আকাশছোয়া হওয়াশ হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হওয়াতেই এ বিপত্তি। কিন্তু এত বেশি হারে দাম বৃদ্ধির যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
গৃহিণী সাবরিনা বলেন, গত সপ্তাহে যে কাঁচা বাজার করেছি তার চেয়ে এখন দ্বিগুণ দামে আজকে বাজার করতে হয়েছে। একটি ছোট লাউ ৮০ টাকার নিচে কেনা যায় না।
যে কাকরোল ৪০ টাকায় কিনেছি সে কাঁকরোল এখন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মত মধ্যবিত্তের না খেয়ে থাকতে হবে। মাছ-মাংস, ডিমের যেমন দাম সবজিরও দাম তেমন।
ক্রেতা নাদিম আহমেদ বলেন, বাজারে ৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। দুই ধরনের সবজি কিনলেই ১০০ থেকে ১৫০ টাকা শেষ হয়ে যায়।
এরপর চাল ডাল তেল অন্যান্য বাজার করতে গেলে হাতে আর টাকা থাকে না। বৃষ্টির দিনে এখন স্থানীয় সবজি বাজারে কম আসে। জেলার বাইরে থেকে যে সবজি আসে সেই সবজির দাম বেশি পড়ে।
সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম বলেন, শহরের চারপাশে যে গ্রামগুলো রয়েছে সেখান থেকে প্রতিদিন শত মণের অধিক সবজি বাজারে আসে ও বিক্রি হয়।
কিন্তু এখন আর সেই আগের মত সবজি খোলা বাজারে আসে না। এজন্য বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই বৃষ্টি ও পানি চলে গেলে দাম আবার আগের পর্যায়ে চলে যাবে।
বাইরের জেলা থেকে যখন কাঁচামাল আসে তখন ট্রাক ভাড়া আড়ৎ খরচ সব মিলিয়ে এমনিতেই একটু দাম বেশি পড়ে যায়। আর দাম কখনই এক ভাবে চলে না। এক ঘণ্টা দুই ঘণ্টা পর পর দাম বাড়ে-কমে।