নিউজ ডেস্ক: আর কয়েক মাস পর বাংলাদেশে যে সাধারণ নির্বাচন হবে, তা ‘শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হবে বলেই প্রত্যাশা করে জাতিসংঘ। সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানটির এই অবস্থান তুলে ধরেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফারহান হক বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশের নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক। আমাদের অবস্থান এটাই।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিক লাভলু আনসারি এ সময় ফারহান হকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার দুটি প্রশ্ন আছে। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তা সত্ত্বেও তথাকথিত সুশীল সমাজের কিছু লোক, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কিছু সংগঠন, এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের কিছু নির্বাচিত সদস্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।‘আপনি কি এই ধরনের দাবি সম্পর্কে অবহিত? এখানে এটিও উল্লেখ করা উচিত, সেই তথাকথিত সুশীল সমাজ ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত কিছু ব্যক্তি বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার পরামর্শ দিয়েছেন। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।‘এদিকে, নির্বাচনে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সম্প্রতি অবাধে সভা-সমাবেশ শুরু করেছে। বাংলাদেশে তাদের সংগঠন কি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সঙ্গে হস্তক্ষেপ করবে? এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের অবস্থান কী?সাংবাদিক লাভলু আনসারির প্রশ্নের উত্তরে ফারহান হক বলেন, ‘প্রথমত নির্বাচনের প্রসঙ্গে আমি বলব, জাতিসংঘ আশা করছে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে।‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ সত্যিকার অর্থেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের উদারতার প্রশংসা করে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে।‘আর জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার সদস্যপদ নিয়ে মন্তব্য করা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এটি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সিদ্ধান্ত ও বিবেচনার বিষয়।